শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫
বালক ব্রহ্মচারী মহারাজ এর বাণী।
রাম নারায়ণ রাম
জীবনে চলার পথে সাড়াটা যে পাচ্ছ, এই যে সজাগ — সে সারাক্ষণ সজাগ হয়েই রয়েছে। এই সজাগ হ'তে যা-ই আসে তার শেষ নাই।
***************************
মহাশূন্যে ঝড় বৃষ্টি কত কি হচ্ছে, তার শেষ নাই। সূর্যের আলো, তার শেষ নাই। সেইজন্যে তোমাদের মধ্যে যে মনটা আছে, তারও শেষ নাই। কারণ সেও তো সজাগ হতেই এসেছে। সেও বিরাট। তাই বলছি, সজাগ হতে যা-ই আসে, তারই শেষ নাই।
এতটুকু উদর ওটাকেই ভরতে পারছো না। সকালে খেলে তো বিকালে ক্ষুধা।
কত বছর হ'য়ে গেল , এটার সেবা তো কম করলে না।
তুমি মনে করলে খেয়ে এসে , আর জীবনে খাব না। কিন্তু আবার ক্ষুধা। সুতরাং তুমি এটাই ভরাতে পারছো না।
শুধু এইটা কেন , কোন্ ইন্দ্রিয়ের কোন্ টা সামাল দিতে পেরেছ ?
চোখে দেখে , কানে শুনে , কোন্ ইন্দ্রিয়ের কোনটাই শেষ করতে পারছো না।
শেষ করলে কি করে হবে ?
যেখান থেকে এসেছ , তোমাদের হাবে-ভাবে , চাল-চলনে , কথায়- বার্তায় সেই রকমই তো হবে।
আম গাছের বীজ থেকে আম আর কাঁঠাল গাছের বীজ থেকে কাঁঠালই হবে।
একটা কাঁঠালের বীচি দেখলে কি ফলটা বুঝা যায় ? যারা কাঁঠাল কখনো দেখে নাই , তারা বুঝবে ! বুঝবে কখন ? যখন মাটিতে পুঁতে দেবে।
বীজ পুঁতে দিলে , কাঁঠাল গাছ হ'ল। সারা গায়ে কাঁঠাল হ'ল। তারপর আবার আঠা।
আমাদের ভিতরেও সেই বীজ আছে। সজাগ যখন আছে , তার সাড়াটা তো আছে। এই সাড়াটাই হ'চ্ছে সজাগ , সমস্ত সৃষ্টিকার্যের ধারাবাহিকতা যে রক্ষা করছে।
শরীরের অঙ্গপ্রতঙ্গের কোনটারই শেষ খুঁজে পাওয়া যায় না।
হাতকে জিজ্ঞাসা করো —
তুমি কি করলে ?
হাত বলে , আমি ঠেলা দিয়ে জিহ্বায় পাঠিয়েছি। জিহ্বারে জিজ্ঞাসা করো , সে বলে —
আমি জানিনা। আমি শুধু যাদের আমার ভিতরে পাই , এধার-ওধার গুঁড়া করি। আমার কাজ শেষ। তারপর এল উদরে। এসে নানা রকমে হজম চলছে। বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন মুখী হ'য়ে যে যার কাজ ক'রে চলেছে।
কাউকে যদি জিজ্ঞাসা করো , রক্ত হ'ল কি করে ?
মল-মূত্র হ'ল কি করে ? কেউ বলতে পারবে না। কাউকে খুঁজে পাবে না। কোন্ দিকে কি চলছে , তবে চলছে , এটা ঠিক।
অদ্ভুত চাল-চলন , হ্যানে-ত্যানে তার মধ্যে হ'তে এখান দিয়ে কথা বলি , এখান দিয়ে শুনি। তবে কে বলে , কোথা থেকে বলে — খুঁজে পাওয়া যাবে না। খালি বলবে , এখান থেকে এই শিরা দিয়ে রক্ত আঙ্গুলে আসে। তারপর এখান থেকে সেখান যায়। এখানে মগজ আছে , এখানে ঘিলু আছে — এসব কথা ডাক্তারের ন্যায়।
এখানে ধাক্কা খেলে resound হয় , vibration হয়। এই হয় , ওই হয় করছে। কিন্তু বুঝলো কেটা ? সেটাই খুঁজে পাওয়া যায় না। অদ্ভুত তো সেটাই !
... চোখ পকেটে নিয়ে যাচ্ছে। আর একজনকে লাগিয়ে দিচ্ছে , সে দেখছে। এ তো আগেও ছিল। আগে চোখ হাতে করে নিয়ে আসতো। এই চোখ তো দেখে না। দেখে কেটা ?
বাপের চক্ষুটা পোলারে দিয়েছে , সে দেখছে।
তাহলে দেখা যায় , একজনের চোখ আরেকজনকে লাগিয়ে দিলে দেখতে পারে।
দেখ , একটা Bulb লাগিয়ে দিলে তো জ্বলে !
জীবনে চলার পথে সাড়াটা যে পাচ্ছ , এই যে সজাগ — সে সারাক্ষণ সজাগ হয়েই রয়েছে।
... গামলাতে মাংস কেটে রেখেছে , মাংস তখনও নড়ছে। হলুদ , মরিচ দিয়ে মেখেছে তবুও এমনি এমনি করছে। প্রাণের যে গতি , তখনও সাড়াটা তার মধ্যে খেলছে। তাহলে এটাকে জীবন বলবে , না সাড়া বলবে ?
জম্মসিদ্ধ মহান শ্রী শ্রী বালক ব্রম্মচারী মহারাজ।
পুস্তক সূত্র : সুরস্রষ্টা শিবশম্ভু।
রাম নারায়ণ রাম
Ram narayan ram
balak brahmachari maharaj
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)